শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন
মোয়াজ্জেম হোসেন:পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সরকারী জমি উদ্ধার অভিযানে উচ্ছেদ হওয়া ৪৯৫ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের শতশত মানুষ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। উচ্ছেদে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখনও খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। থাকার বিকল্প জায়গা নেই। চলছে না রান্না-বান্নাসহ গোসল। পানির গভীর নলকূপও ভেঙ্গে দিয়েছে প্রশাসন। এমন সব অভিযোগ নিয়ে বুধবার বেলা ১১ টায় কুয়াকাটা পৌরসভার হুইছান পাড়া ও পাঞ্জুপাড়ার হাজারো মানুষ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে। প্রায় আধা কিলোমিটার বেড়িবাঁধজুড়ে শিশুসহ ভুক্তভোগী ওইসব মানুষগুলোর দাবী পুর্ণবাসন। বাপ দাদার ভিটেমাটি ছেড়ে কোথায় গিয়ে থাকবেন তারা। খোলা আকাশের নিচে বেড়া দিয়ে, তাবু টানিয়ে বসবাস করছে তারা। স্থানীয় রাজনীতিবিদসহ কেউ তাদের পাশে দাড়ায়নি। খোঁজখবর নেয়নি প্রশাসনও। ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষদের দাবী উচ্ছেদ হওয়া এই ভূমি তাদের। পুর্ণবাসন না হওয়া পর্যন্ত তারা কোথাও যাবেন না। আর যাওয়ার জায়গাও নেই তাদের।
>ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন কর্মসুচিতে অংশ নেয়া পাঞ্জুপাড়ার ভুক্তভোগী আব্বাস কাজী বলেন, কোন প্রকার আগাম নোটিশ বা সময় না দিয়ে ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে বাড়িঘর। প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে না উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলোর।
হাসেনপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব হাওলাদার বলেন, উচ্ছেদকৃত পরিবাগুলোর শিশুরা ক্লাশে আসছেনা। শিশুদের স্কুলেমুখী করার চেস্টা করে যাচ্ছেন তারা। অপর এক সহকারী শিক্ষক সোহরাব হোসেন মিন্টু বলেন, খোলা আকাশে নিচে বসবাস করায় দূর্ভোগে পরিবার গুলো। ঠান্ডা জনিত রোগে ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।
কুয়াকাটা পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডের কাউন্সিল মোঃ ছাবের হোসেন বলেন, উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলোর অধিকাংশই ভূমিহীন। বর্তমানে খাদ্য,বস্ত্র, বাসস্থানের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা।কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন,খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন শত শত মানুষ। পৌরসভার নিজস্ব জমি না থাকায় সহসাই পুর্ণবাসন সম্ভব নয়। তবে প্রধানমন্ত্রীর পুর্ণবাসন প্রকল্পের অধীনে পুর্ণবাসনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ব্যাক্তি উদ্যেগে দুবেলা খাবারের ব্যবস্থা করেছেন, এছাড়া তার আর কিছুই করার নেই।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, উচ্ছেদ হওয়া পরিবার গুলোর খোঁজখবর নিচ্ছেন। প্রকৃত ভূমিহীন তালিকা প্রননয়নের কাজ চলছে। পর্যায়ে ক্রমে পুর্ণবাসন করা হবে।